ব্লগিং টিপস

১২ টি গুরুত্বপূর্ন ব্লগিং টিপস সফল ব্লগারদের জন্য ( Blogging Tips Bangla )

আপনি যদি লেখালেখি পছন্দ করেন তাহলে ব্লগিং হতে পারে আপনার জন্য একটি স্মার্ট পেশা । আজকাল ব্লগিং করে অনেকেই প্রতি মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে।

আপনি চাইলেই ব্লগ লিখে হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্ট আর্ন করতে পারবেন। 

হয়তো আপনি এইজন্যই এই ব্লগ পোস্টটি পড়তে এসেছেন। আপনি চাচ্ছেন একটি ব্লগ ক্রিয়েট করতে এবং টাকা ইনকাম করতে। 

সেজন্য আপনি কি কিছু টিপস খুঁজছেন? হ্যাঁ, আপনার জন্যই আজকে আমি কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্লগিং টিপস দিব যেগুলো ফলো করলে আপনি একজন প্রফেশনাল ব্লগার  হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবেন। 

চলুন শুরু করা যাক। 

ব্লগিং টিপস ১, নিস সিলেকশন

ব্লগ শুরু  করার সময় আমরা যে ভুলটা করে থাকি সেটা হচ্ছে  Random Content ক্রিয়েট করা। 

আমরা একটি ব্লগে নানা রকম content দিতে থাকি। এই যেমন ধরেন প্রথমে মোটিভেশনাল টিপস তারপর হচ্ছে হেলথ টিপস, তারপর আলমারি টিপস। 

এভাবে যদি ব্লগ লিখেন তাহলে আপনি ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারার চান্স খুবই সীমিত

আপনাকে প্রথমেই একটি নিস (যাকে আমরা বলি টপিক) সিলেক্ট করে নিতে হবে। 

আপনি যে বিষয়ে লেখালেখি করতে পছন্দ করেন সে বিষয় নিয়ে আপনি ব্লগ শুরু করতে পারেন। 

কিন্তু আপনাকে কথা দিতে হবে যে, আপনি যেকোন এক বিষয়ের উপর লেখালেখি করবেন। 

ধরুন আপনি রান্না করতে প্রচুর ভালোবাসেন তাহলে রান্না-বান্না নিয়ে ব্লগ তৈরি করুন। সেখানে অন্য কিছু নিয়ে লিখবেন না। 

আরো পড়ুন

ব্লগ লিখে আয় করার সেরা ৪ টি সহজ উপায়

অনলাইন ইনকামঃ অনলাইন থেকে টাকা আয় করার সেরা উপায়

Google Adsense কি বাংলা সাপোর্ট করে?

ব্লগিং টিপস ২, কিওয়ার্ড রিসার্চ

ব্লগ তৈরি করার পর আরেকটি মারাত্মক ভুল করে থাকি সেটা হচ্ছে আমরা ব্লগ লিখি উইদাউট কিওয়ার্ড রিসার্চ। 

আমি যদি কিওয়ার্ড রিসার্চ ছাড়া আর্টিকেল লিখি তাহলে সেই কনটেন্ট গুলো র‍্যাংক করাতে পারব না। যার ফলে আমরা সার্জ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক পাবনা। 

তাই প্রত্যেকটি কন্টেন্ট লেখার আগে আমাদের কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। 

কিওয়ার্ড রিসার্চ বলতে বোঝায় আপনি যে বিষয়ের উপর আর্টকেল লিখবেন সেই কী-ওয়ার্ডটি আসলে কতটুকু কম্পিটিটিভ? 

যদি দেখেন কী-ওয়ার্ডটি অনেক প্রতিযোগিতামূলক তাহলে আমরা সেই কী-ওয়ার্ডটি ব্যবহার করব না। 

আমরা এমন কিওয়ার্ড বাছাই করব যেটা আসলেই কম প্রতিযোগিতামূলক কিন্তু সার্চ ভ্লিউম বেশি। 

কিওয়ার্ড রিসার্চ করে আর্টিকেল লিখলে কিওয়ার্ড র‍্যাংক করতে পারবো এবং প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক আনতে পারবো। 

৩। ডোমেইন সিলেকশন 

আপনাকে ব্লগিং শুরু করার আগে প্রথমে একটি ডোমেইন সিলেক্ট করতে হবে। আপনার ডোমেইনটি অবশ্যই প্রফেশনাল হতে হবে। একটি আদর্শ ডোমেইন খুবই ছোট হয় যাতে ভিজিটররা খুব সহজে মনে রাখতে পারে। আর ডোমেইনটি অবশ্যই .com নিবেন 

ডোমেইনটি যখন সিলেক্ট করবেন তখন দেখে নেবেন এই ডোমেইনটি আগে ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা। যদি ডোমেইনটি আগে ব্যবহার করা হয় তাহলে এই ডোমেইন টি পরিহার করবেন কারণ এটি স্পামিং এ ব্যবহৃত হতেও পারে।

ExonHost.com থেকে আপনি ডোমেইন কিনতে পারবেন বিকাশের মাধ্যমে 

৪।হোস্টিং 

ব্লগিং এর জন্য হোস্টিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনাকে অবশ্যই একটি ভালো মানের হোস্টিং কোম্পানি সিলেক্ট করতে হবে। 

বাংলাদেশি অনেক কোম্পানি রয়েছে যার মধ্যে অধিকাংশই বাজে হোস্টিং। 

এমন হোস্টিং সিলেক্ট করুন যেখানে সবসময় আপনার ওয়েবসাইটটি লাইভ থাকবে এবং ওয়েবসাইটের স্পিড ভালো থাকবে। 

আমি রিকমেন্ড করব আপনি ExonHost.com এর হোস্টিং ব্যবহার করুন। 

এরা বাংলাদেশি কম্পানি কিন্তু International Standard বজায় রেখেছে। 

আপনি যদি বাজে হোস্টিং ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটি মাঝেমধ্যেই ডাউন হয়ে থাকবে এবং এগুলো গুগোল কখনোই পছন্দ করে না। এর ফলে আপনি র‍্যাংক হারাতে পারেন। 

৫। নেটওয়ার্কিং সৃষ্টি করুন। 

অন্যান্য ব্লগারদের সাথে নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করুন

তাদের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি করলে আপনি অনেক উপকৃত হবেন

যেমন: আপনি তাদের দ্বারা আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে পারবেন। 

আপনি তাদের ব্লগ থেকে ব্যাকলিংক ক্রিয়েট করতে পারবেন যা আপনার গুগলের র‍্যাংক করতে অনেক সহায়তা করবে। 

আরো নানা ধরনের সহযোগিতা পেতে পারবেন। 

৬। ব্লগ কমেন্টিং 

ব্লগ কমেন্ট বলতে বোঝায় আপনি অন্যের ব্লগে কমেন্ট করবেন। এর ফলে আপনার তিনটি লাভ হবে। 

আপনি অন্য ব্লগারদের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে পারবেন। আপনি আপনি একটি সুইট ব্যাকলিঙ্ক পাবেন। 

এবং ভাল কমেন্ট এর ফলে আপনি ওই ব্লগ থেকে অনেক ভিজিটর পেতে পারেন। 

সো ব্লগ কমেন্ট অনেক কার্যকরী যদি আপনি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে করতে পারেন। 

ব্লগ কমেন্টিং এর সময় আপনাকে মনে রাখতে হবে কমেন্ট এ ভ্যালু এড করতে হবে ।আপনি যদি একটি চমৎকার ব্লগ কমেন্ট লেখেন তাহলে পাঠকরা আপনার কমেন্টে আকর্ষিত হবে এবং তারা আপনার ব্লগ ভিজিট করবে। 

৭। ব্লগে শেয়ার বাটন ব্যবহার করুন

আপনার ব্লগে অবশ্যই শেয়ার বাটন ব্যবহার করতে হবে। কারো যদি আপনার ব্লগ পোস্ট টি ভাল লেগে থাকে তাহলে সে শেয়ার বাটন থেকে ব্লগ পোস্টটি শেয়ার করতে পারবে তার সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আপনি অবশ্যই তাদেরকে আপনার ব্লগ গুলোকে শেয়ার করতে অনুরোধ করবেন। 

৮।ব্লগে ইমেজ ব্যবহার করুন 

আপনার ব্লগ পোস্টে প্রাসঙ্গিক ইমেজ ব্যবহার করুন। এটি আপনার ব্লগ পোস্টের ক্রেডিবিলিটি বাড়িয়ে দিবে। image ব্যবহারে আপনার গুগল রেংকিং আরো বেড়ে যাবে। তাই সব সময় চেষ্টা করবেন কমপক্ষে দুই থেকে তিনটি ইমেজ ব্যবহার করার। 

একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে  ইমেজ ব্যবহার করা হলে সেই পোষ্টটি র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকে, ভিজিটররা অনেক পছন্দ করে এবং শেয়ার বেশি হয়। 

তাই ব্লগে ইমেজ ব্যবহার করতে কখনো ভুলবেন না। 

৯।ব্লগ পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার ব্লগ পোস্ট শেয়ার করলে আপনার গুগল রেংকিং Improve হবে। আপনি সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও অনেক ট্রাফিক পেতে পারেন। 

আপনার ব্লগটি যদি বাংলাদেশি ট্রাফিক টার্গেট করে থাকে তাহলে আপনি ফেসবুক বেশি ব্যবহার করতে পারেন কারণ বাংলাদেশের মানুষেরা ফেসবুক অনেক বেশি ব্যবহার করে। 

আপনি চাইলে আপনার ব্লগের জন্য একটি পেইজ, একটি গ্রুপ খুলতে পারেন। যার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগ টি প্রমোট করতে পারেন। 

আর সোসিয়াল শেয়ার হচ্ছে গুগলের একটি রেংকিং ফ্যাক্টর। আপনার ব্লগ পথ যত বেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হবে তত আপনি এগিয়ে থাকবেন র্যাংকিংয়ে। 

১০। ব্লগ ডিজাইন

আপনাকে অবশ্যই একটি ভালো ব্লগ ডিজাইন করতে হবে সেটা আসলেই পাঠকদের আকর্ষণ করে। 

আপনার ব্লগে যদি ফাস্ট ইম্প্রেশন অনেক খারাপ থাকে তাহলে ভিজিটররা আপনার ব্লগে আসতে চাইবে না। 

তাই ব্লগের ডিজাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।  আপনি যদি ভাল ওয়েব ডিজাইনার না হয়ে থাকেন তাহলে একজন ওয়েব ডেভেলপার হায়ার করে ব্লগটি ডিজাইন করে নিবেন। 

১১। আপনার ব্লগে নিয়মিত পোস্ট করুন 

আপনি যদি নিয়মিত ব্লগে পোস্ট করতে থাকেন তাহলে গুগল আপনাকে অতি সহজেই ট্রাস্ট করবে। এর ফলে আপনার ব্লগের অথরিটি বেড়ে যাবে এবং আপনার পোস্টগুলো গুগলের র‍্যাংক করা শুরু করবে। 

প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে দুটি করে কনটেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করুন। 

এর ফলে গুগলের কাছে আপনার ব্লগটি অনেক ট্রাস্টবিলিটি পেয়ে যাবে।

১২। হেডলাইন লেখার ক্ষেত্রে সচেতন হোন

আপনি কি জানেন আপনার ব্লগ পোষ্ট কি দেখে ভিজিটররা পড়তে আসে? 

হ্যাঁ, ঠিকই ধরতে পেরেছেন সেটি হচ্ছে আপনার ব্লগের হেডলাইন।

তাই সবসময় চেষ্টা করুন ব্লগের জন্য একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় হেডলাইন লেখার জন্য 

তাই আপনার ব্লগের হেডলাইন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

আপনার ব্লগের হেডলাইনটা অবশ্য অ্যাট্রাক্টিভ এবং আকর্ষণীয় হতে হবে।

আমার সর্বশেষ পরারর্শ হচ্ছে কখনো ধৈর্যহারা হবেন না । ব্লগিং হচ্ছে একটি long-term গেইম। হয়তো আপনি প্রথম ছয় মাসে কোন টাকা ইনকাম করতে পারবেন না কিন্তু এরপর আপনি প্রতিমাসে একটা ভালো অ্যামাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন। 

তাই লিখতে থাকুন, পড়তে থাকুন, শিখতে থাকুন সবসময়।

আর হ্যাঁ এই ব্লগটি  যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে প্লিজ অবশ্যই শেয়ার করবেন। আর আপনার কোন টিপস টি সবচেয়ে ভালো লেগেছে তা কমেন্টে আমাদের জানান।

আরো পড়ুন

ব্লগ লিখে আয় করার সেরা ৪ টি সহজ উপায়

অনলাইন ইনকামঃ অনলাইন থেকে টাকা আয় করার সেরা উপায়

Google Adsense কি বাংলা সাপোর্ট করে?

৯টি গুরুত্বপূর্ন এসইও টিপস

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *